প্রকল্পের পটভুমিঃ
কক্সবাজার জেলার চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজরা নামক স্থানে তৎকালীন কক্সবাজার বনবিভাগ কর্তৃক ৪২.৫ হেক্টর এলাকা নিয়ে ১৯৮০-৮১ সালে একটি হরিণ প্রজনন কেন্দ্র স্থাপন করা হয়। পরবর্তীতে জুলাই/১৯৯৯ হতে জুন/২০০১ মেয়াদে উক্ত হরিণ প্রজনন কেন্দ্রটির পরিসর বৃদ্ধি করে ৩০০ হেক্টর এলাকা নিয়ে দেশের প্রথম সাফারী পার্ক স্থাপনের লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারী পার্ক, কক্সবাজার নির্মাণ প্রকল্প গৃহীত হয়। পরবর্তীতে জুলাই /২০০২ হতে জুন/২০০৬ মেয়াদে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারী পার্ক, কক্সবাজার(২য় পর্যায়) প্রকল্পের আওতায় সাফারী পার্কটির আয়তন বৃদ্ধি করে ৯০০ হেক্টর করা হয় এবং এরই ধারাবাহিকতায় সাফারি পার্কের উন্নয়নের জন্য একাধিক প্রকল্প বাস্তাবয়ন করা হয়। সর্বশেষ ৩৫৯১.৯৯ লক্ষ টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে জুলাই/২০১২ হতে জুন/২০১৭ মেয়াদে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারী পার্ক, কক্সবাজার এর উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়। উক্ত প্রকল্পের আওতায় ২ জন দেশী ও ৫ জন বিদেশী পরামর্শক নিয়োগের সাফারি পার্কটির উন্নয়নের লক্ষ্যে মাধ্যমে ১০ বছর মেয়াদি একটি মহাপরিকল্পনা প্রস্তুত করা হয়, যা ২০/১০/২০১৬ খ্রিঃ তারিখে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন কর্তৃক অনুমোদিত হয়। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় কর্তৃক অনুমোদিত সাফারী পার্কের মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে জুলাই/২০১৯ হতে জুন/২০২২ সাল পর্যন্ত মেয়াদে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারী পার্ক, কক্সবাজার এর উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ (২য় পর্যায়) শীর্ষক প্রকল্পটি ১২৬৫১.৭৭৭১ লক্ষ টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে গৃহীত হয়। কিন্তু কোভিড ১৯ এর কারণে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন বাধাগ্রস্ত হয়। পরবর্তীতে অনুমোদিত মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে প্রকল্পের মেয়াদ জুন/২০২৩ সাল পর্যন্ত বর্ধিত করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
প্রকল্পের লক্ষ্য
১। বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্যের টেকসই সংরক্ষণ কার্যক্রম অব্যাহত রাখা।
২। বিপন্ন প্রাণীর আবাসস্থল উন্নয়ন।
৩। বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে জনসচেতনাতা বৃদ্ধি।
৪। ইকো-ট্যুরিজম এর উন্নয়নের মাধ্যমে স্থানীয় জনসাধারণের আর্থ সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন।
৫। বন্যপ্রাণী বিষয়ে শিক্ষা ও গবেষণার সুযোগ সৃষ্টি।
প্রকল্পের উদ্দেশ্যঃ
মহাপরিকল্পনা অনুযায়ী অবকাঠামোগত উন্নয়ন;
বন্যপ্রাণীর আবাসস্থল পুনরূদ্ধার ও উন্নতি সাধন ( তৃণভোজী, মাংসাশী ও সরীসৃপ প্রাণী ইত্যাদি );
বিলুপ্ত ও বিপন্ন বন্যপ্রাণীর in-situ এবং ex-situ সংরক্ষণ;
পার্কে বিদ্যমান বন্যপ্রাণীদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করা
ইকো-ট্যুরিজম সুবিধাদির বৃদ্ধি;
শিক্ষা ও গবেষণার সুযোগ সৃষ্টি;
বিদ্যমান অবকাঠামো,যানবাহন ও যন্ত্রপাতির মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ করা;
নতুন নতুন পশু-পাখি সংগ্রহ।
প্রকল্পের প্রধান প্রধান কার্যক্রম
প্রবেশ প্লাজার উন্নয়ন।
পার্কিং সুবিধা বৃদ্ধি।
টাইগার, লায়ন এবং তৃনভোজী সাফারী নির্মাণ।
পর্যটকদের সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি।
বিভিন্ন বন্যপ্রাণীর বেষ্টনী নির্মান।
মিঠা ও লোনাপানির কুমিরের প্রজনন এবং বংশ বৃদ্ধির সুবিধাদি উন্নয়ন।
আহত, জব্দ ও উদ্ধারকৃত বন্যপ্রাণীর চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করা।
বিভিন্ন বেষ্টনীতে পানি সরবরাহের সুযোগ সৃষ্টি।
বন্যপ্রাণীর চিকিৎসা সেবার উন্নয়ন।
ফল ও ফডার বাগান সৃজন।
কর্মরত কর্মচারীদের আবাসস্থলের সুযোগ-সুবিধার উন্নয়ন।
প্রকল্পের আউটপুটঃ
আধুনিক সাফারী পার্কে উন্নীত হওয়া।
ইকো-ট্যুরিজমের সুবিধাদি বৃদ্ধি এবং এর উন্নয়নের মাধ্যমে স্থানীয় জনসাধারণের কর্মসংস্থান ও আর্থ সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন হওয়া।
স্থানীয় জনসাধারণ বন্যপ্রাণী রক্ষা ও সংরক্ষণে উদ্বুদ্ধ হওয়া।
শিক্ষা ও গবেষণা ক্ষেত্রে সুযোগ সৃষ্টি হওয়া
পার্কে সংরক্ষিত বন্যপ্রাণী সমূহের আবাসযোগ্য পরিবেশ সৃষ্টি হবে।